যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমানোর পক্ষে জনসন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকা বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হলে অভিবাসন কমানোর অঙ্গীকার করেছেন। তবে বিদেশিদের যুক্তরাজ্যে কাজ করা এবং থাকতে দেওয়ার বিরোধী তিনি নন বলেও জানিয়েছেন। ৩১ জানুয়ারিতে একটি যুগান্তকরী ব্রেক্সিট সম্পন্ন করা এবং অভিবাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া প্রশ্নে গণভোটের সময় ব্রেক্সিটের প্রচারে জনসন যেসব প্রতিশ্র দিয়েছিলেন সেগুলোরই প্রতিধ্বনি করে ফের অস্ট্রেলিয়ার আদলে পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থায় সার্বিক অভিবাসন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। জনসন ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইইউবহির্ভূত সবার জন্য সমান অভিবাসন নীতি কার্যকর করা এবং পয়েন্টভিত্তিক পদ্ধতিতে পেশাগত দক্ষতা এবং ইংরেজি দক্ষতার জন্য বেশি পয়েন্ট পাওয়াদের আবেদন বিবেচনার ব্যবস্থা চালু করতে চান। এভাবে যুক্তরাজ্যে অদক্ষ অভিবাসী কমানোই তার লক্ষ্য বলে জানান জনসন।
ওদিকে, ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে জনসন বলেন, “এটি অপরিহার্য। ব্রেক্সিট ছাড়া সামনে আগাতে পারা যাবে না।” নির্বাচনে জিতে ৩১ জানুয়ারিতে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারলে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতেই ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যে নাগরিকদের অবাধ চলাচল বন্ধ করা হবে।
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে বরাবরই ‘অভিবাসন’ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এবারও তেমনটিই হয়েছে। জনসনের বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি অভিবাসনের সুযোগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন তার দলের নীতি হবে অভিবাসীবান্ধব। যদিও ব্রেক্সিটের পর ইইউ নাগরিকদের অবাধ প্রবেশ বন্ধ করবেন কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে সাধারণ মানুষ ব্যপক ভোটে জনসনের দলকে জয়ী করে রেক্সিটের পক্ষেই তাদের সমর্থন জানালো।