অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ছড়াতে থাকা দাবানল নেভাতে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে তাদের এ আন্দোলন।

গত সেপ্টেম্বর থেকে দাবানল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে জ্বলতে থাকা এ আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বৃষ্টিও নেভাতে পারেনি এ আগুন। বরং বিশাল এলাকাজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে। আরো দুই মাস এ আগুন জ্বলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবারের বিক্ষোভ আয়োজন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন শহরে একযোগে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষও ধীরে ধীরে যোগ দেন এতে। একসময় বন্ধ হয়ে যায় সিডনি, ক্যানবেরা, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, হোবার্টের মতো বড় শহরগুলোর প্রধান সড়কগুলো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ আন্দোলন ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে। শুক্রবারের বিক্ষোভ সরাসরি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়। সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানাতে জনমত গড়ে তুলতে ফেসবুক, টুইটার ব্যবহারকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

স্কট মরিসন দাবানল ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন অভিযোগ করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজপথে নামা আন্দোলনকারীদের স্লোগান ছিল ‘স্কোমো (স্কট মরিসন), হ্যাজ টু গো’। ব্যানার-ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছিল ‘দেয়ার ইজ নো ক্লাইমেট বি’, ‘সেভ আস ফ্রম হেল’ ইত্যাদি স্লোগান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে #স্য়াকস্কোমো হ্যাশট্যাগ।

এরই মধ্যে দাবানলে ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দাবানলে স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও সরীসৃপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুনে পোড়া ক্ষত নিয়ে অনেক প্রাণী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে।

পাঁচ দিন ধরে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০ হাজার উট হত্যা করছে অস্ট্রেলিয়া। চলমান দাবানলের কারণে নিজেদের আবাসস্থল ছেড়ে আদিবাসীদের শহরে চলে আসছে উটের দল। এ অবস্থা ঠেকাতে নেয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। হেলিকপ্টার থেকে স্নাইপার দিয়ে গুলি করে মারা হচ্ছে বুনো উট। প্রথম দিনে প্রায় দেড় হাজার উট মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও