করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি দুই বাঙালি বিজ্ঞানী, সবজি সেদ্ধ খেয়ে দিন কাটছে

 চীনে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি দুই বাঙালি গবেষক। উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে তাদের পরিবার। ফোনে বারবার কথা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন তারা। দিন কাটছে সবজি এবং ফল সেদ্ধ খেয়ে!

চীনের হুবেই প্রদেশের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট করতে গিয়েছেন ভারতের পূর্ব বর্ধমান শহরের সাম্যকুমার রায়। বর্ধমানের কালীবাজারের বাড়িতে উদ্বেগে দিন কাটছে তার মা–বাবার। একইভাবে হুবেই প্রদেশের এনশি শহরে আটকে পড়েছেন বীরভূমের সিউড়ির ইন্দিরাপল্লীর কাজি আরিফ ইসলাম। তিনি চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সে রসায়নশাস্ত্রে পোস্ট ডক্টরেট করতে গেছেন। উদ্বেগে দিন কাটছে তার পরিবারের সদস্যদেরও।

সাম্যর বাবা সুজিত রায় ও মা ইনাদেবী জানান, সাম্য বেঙ্গালুরু থেকে এমএস করার পর কানপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি করেন। তারপর দু’বছরের জন্য চীনের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট করতে যান। দেড় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। এই ২১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে ২২ জানুয়ারি চীনে পৌঁছান।

সাম্য ফোনে জানিয়েছেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি। বাজার, ক্যান্টিন সব বন্ধ। চলছে না ট্রেন। বন্ধ এয়ারপোর্টও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যান্টিন খোলা থাকলেও সেখানে আতঙ্কে যাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না কেউ। সোমবার ফোনে সিউড়ির ছেলে আরিফের যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‌আমি এখন হুবেই প্রদেশের এনশি শহরে ডুয়োশান ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ হোস্টেলের ঘরে আটকে আছি। আমাদের ইউনিভার্সিটির আটকে পড়া ৬ জনের দলে আমি একমাত্র ভারতীয়। আমরা ২১ জানুয়ারি ইউনিভার্সিটি থেকে ৬ জনের একটি দল এনশি শহরে ছুটিতে বেড়াতে এসেছিলাম। আর উহানে ফিরতে পারিনি। তিনদিন ধরে আটকে আছি। আমাদের হোটেলের বাইরে যাওয়া বারণ।

সাম্যের বাবা জানিয়েছেন তারা চিনের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সরকারের তরফ থেকে সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

আরও