অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কানাডায় সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষনা
ইলিয়াছ খান, টরন্টো, কানাডা: “লুটেরা রুখো, স্বদেশ বাঁচাও” এই স্লোগান দিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে কানাডার টরন্টোতে শুরু হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী আন্দোলন যেটার মূল লক্ষ ছিল বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা পাচারকারী দুর্নীতিবাজদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা এবং এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এই আন্দোলনকে সক্রিয় রাখতে আবারো প্রচন্ড ঠান্ডা এবং বৃষ্টির মধ্যে বরফগলা রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে জড়ো হয়েছিলেন টরন্টোর প্রায় শতাধিক প্রতিবাদী কন্ঠ। রোববার বিকেলে প্রতিবাদের স্লোগানে আরো একবার মুখরিত হয়ে উঠে টরন্টোর বাংলাপাড়া অধ্যুষিত এলাকা ডানফোর্থ এবং এলডন এভিনিউ ।
উল্ল্যেখ্য যে, বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং পাচার সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত তথ্য সম্প্রতি কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাত দিয়ে বলা হয় এইসমস্ত দুর্নীতির সাথে জড়িত বেশ কয়েকজন বর্তমানে কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা। খবরটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে কানাডায় বসবাসরত সর্বস্তরের প্রবাসীদের মাঝে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়।
লুটেরাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ টরন্টোতে শুরু হলেও ইতিমধ্যে এটা বাংলাদেশ এবং আমেরিকাসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেকেই এই আন্দোলনের সাথে তাদের একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
লুটেরাদের রুখতে ঐদিন উপস্থিত ছিলেন টরোন্টোর বিভিন্ন পেশার সচেতন নাগরিকবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় মূলধারার সাংবাদিকবৃন্দ। তাদের সকলেই লুটেরাদের বিরুদ্ধে চলমান এই আন্দোলন আগামী দিনেও অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আয়োজকরা উপস্থিত সবার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী শনিবার ৮ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকায় স্থানীয় রেড হট তান্দুরি রেস্তোরাঁতে একটি গোলটেবিল বৈঠকের ঘোষণা দেন এবং সবাইকে সাথে থাকার অনুরোধ করেন।