যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত দুই ব্রিটিশ বাংলাদেশি

যুক্তরাজ্যে হা’মলার ষড়যন্ত্রের অ’ভিযোগে সন্ত্রাসবাদের মা’মলায় ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুই ভাই-বোনকে অ’ভিযুক্ত করেছেন লন্ডনের একটি আ’দালত। হা’মলার পরিকল্পনার জন্য ২৮ বছর বয়সী মোহিসুন্নাহ চৌধুরী এবং পরিকল্পনার তথ্য গো’পনের অ’ভিযোগে তার বোন স্নেহা চৌধুরীকে অ’ভিযুক্ত করা হয়েছে। সাড়ে ছয় মাস ত’দন্তের পর সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের অ’ভিযুক্ত করেন উলউইচ ক্রাউন আ’দালত।

লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উবার চালক মোহিসুন্নাহ চৌধুরী সন্ত্রাসবাদী হা’মলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। এর কয়েক বছর আগে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের কাছে অ’স্ত্র দিয়ে হা’মলা চালিয়ে গ্রে’ফতার হয়েছিল সে। পরে সন্ত্রাসবাদের অ’ভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার শুরু করে। পরে তার কার্যক্রম ত’দন্ত করে মেট্রোপলিট্রন পু’লিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ড। ২৮ বছর বয়সী মোহিসুন্নাহ তার বোনকে জানিয়েছিল, সে আরেকটি হা’মলা চালাতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে ছু’রি হা’মলার অনুশীলনে তাকে সহায়তার অনুরোধ করে। কিন্তু এই তথ্য পু’লিশকে জানায়নি স্নেহা চৌধুরী।

মেট্রোপলিট্রন পু’লিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের কমান্ডার রিচার্ড স্মিথ বলেছেন, ‘মোহিসুন্নাহ নিরাপরাধ মানুষদের হ’ত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তবে হা’মলার আগেই তার পরিকল্পনার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে আম’রা তাকে গ্রে’ফতার করি।’

ত’দন্ত কর্মক’র্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনলাইনে উগ্রবাদ প্রচার করতে থাকে মোহিসুন্নাহ। সন্ত্রাসবাদী হা’মলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রেপ্লিকা ব’ন্দুক কেনে সে। পরে ছদ্মবেশে অনলাইনে তার বন্ধু হয় গোয়েন্দা কর্মক’র্তারা। এভাবে তার কাছ থেকে হা’মলা পরিকল্পনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের ত’দন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাইয়ে লুটন থেকে তাদের গ্রে’ফতার করা হয়। পরে মোহিসুন্নাহর বি’রুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হা’মলার পরিকল্পনার অ’ভিযোগ আনে কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে ওই মা’মলায় তাদের বিচার শুরু হয়। চলতি সপ্তাহে এসব অ’প’রাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আ’দালত। আর মোহিসুন্নাহর এসব স’ন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও অনুশীলনের তথ্য পু’লিশকে অবহিত না করার দায়ে তার বোন স্নেহা চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এর আগে প্রসিকিউটর ডানকান অ্যাট’কিনসন বিচারককে জানিয়েছিলেন, ‘যুক্তরাজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ও ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তাদের ওপর হা’মলায় অংশ নিতে আগ্রহী চৌধুরী।’ তিনি বলেছেন, ‘মোহিসুন্নাহ মাদাম তুসোর জাদুঘর, গে প্রাইড প্যারেড ও লন্ডনের পর্যটনবাহী বাসে হা’মলা পরিকল্পনা করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র, ছু’রি ও এমনকি ভ্যান ব্যবহার করে অমু’সলিম’দের মৃ’ত্যু ও ভোগান্তি সৃষ্টিই ওই ব্রিটিশ-বাংলাদেশির উদ্দেশ্য ছিল।’

আগামী ১৩ মা’র্চ মোহিসুন্নাহ ও তার বোনের সন্ত্রাসবাদী মা’মলার রায় ঘোষণা করবেন উলউইচ ক্রাউন আ’দালত।

আরও