বড় ভাইয়ের গলা কেটে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে থানায় হাজির ছোট ভাই
নাটোরে তুচ্ছ ঘটনায় বড় ভাই ওমর ফারুককে গলা কেটে হত্যা করেছেন ছোট ভাই শাজাহান। পরে তিনি রক্তমাখা ছুরি নিয়ে থানায় হাজির হয়ে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর সদর উপজেলার জংলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত ওমর ফারুক এবং তার ছোটভাই শাজাহান দুইজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদর উপজেলার জংলী গ্রামের মৃত সিদ্দিক ব্যাপারীর পাঁচ ছেলে। সবাই পৃথকভাবে সংসার করছেন। এদের মধ্যে দুই ভাই রাজশাহীতে থাকেন। কিন্তু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওমর ফারুক ও শাজাহান আলী এক সঙ্গেই থাকতেন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ওমরের স্ত্রী অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে যান। সম্প্রতি শাজাহানের স্ত্রী শাজাহানকে তালাক দেন।
শাজাহানের একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় ওমর ফারুক নিজেই রান্না করে ছোট ভাই শাজাহানকে খাওয়াতেন এবং দুই ভাই একত্রে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনায় দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে শাজাহান ছুরি দিয়ে ওমর ফারুককে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে তিনি রক্তমাখা ছুরি নিয়ে থানায় হাজির হয়ে বড় ভাই ওমর ফারুককে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, শাজাহান ও ওমর দুইজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। শাজাহান নিজেই থানায় এসে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা করেছেন কিছুই জানাননি। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।