করোনা মোকাবিলায় মোদীর সঙ্গে একযোগে কাজ করতে ইচ্ছুক ইমরান
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটাই ত্রাসের নাম করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের আক্রমনে গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫ হাজারের কাছে। ভারতেও ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন ২ জন। এছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪। এবার মারণ এই ভাইরাসের মোকাবিলায় ভারত এবং সার্কভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করার সদিচ্ছা প্রকাশ করল পাকিস্তান।
শনিবার সকালে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। টুইটে পাক বিদেশ মন্ত্রকের প্রধান জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি আছেন ইমরান খান। শুধু তাই নয়, তিনি টুইটে আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারত সহ সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির প্রত্যেকের সঙ্গেই করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসতে রাজি পাক-প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মারণ ব্যাধি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অতি সম্প্রতি মোদী সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই ডাকে ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছে ভুটান, নেপাল সহ সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে দিল পাকিস্তানও।
এদিকে পাকিস্তানে গত দু-সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৮। এছাড়াও করোনা সন্দেহে সেদেশের প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষকে বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে। যদিও করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই মারণব্যাধির মোকাবিলায় পাকিস্তানের সাধারণ মানুষদের আরও বেশি সচেতন এবং সতর্ক হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে করোনার ভয়ে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের সমস্ত স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। করোনার আতঙ্কে ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে বিগত দু-সপ্তাহ ধরে।
এছাড়াও পাকিস্তানীদের জন্য আপাতত কারতারপুর সাহিবে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যদিও এই করিডোরের মাধ্যমে গুরু দুয়ার দরবার সাহিবে প্রবেশ করতে পারবেন ভারতীয়রা। ভারতীয় নাগরিকদের প্রবেশের উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।