দিল্লি থেকে দূরে, নতুন পরিচয়ে রান্নায় মন নির্ভয়াকাণ্ডের সেই নাবালকের!
সাত বছরের উপর বিচারের অপেক্ষায় ছিল পরিবার। অপেক্ষা করেছে গোটা দেশই। জটিল আইনি মারপ্যাঁচের পর শেষমেশ শুক্রবার ভোরে ফাঁসি হল নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষীর। কিন্তু, ২০১২ সালের অভিশপ্ত ১৬ ডিসেম্বরের দিন এই চার জনের সঙ্গেই ছিল আরও একজন। আজ দক্ষিণ ভারতের কোনও এক শহরে রাঁধুনীর কাজ করছে সে। পরিচয় গোপন করতে নিয়েছে নতুন নামও। কারণ, এর আগে তার পরিচয় ছিল নির্ভয়াকাণ্ডের নাবালক দোষী হিসেবেই। তবে জুভেনাইল আইন অনুযায়ী ৩ বছরের সাজার পর আজ মুক্ত সেদিনের সেই নাবালক।
নির্ভয়াকাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম দোষী ছিল সে। তবে ঘটনার দিন আজকের যুবকের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। তাই আইনের চোখে সে ছিল নাবালক। গোটা বিচার প্রক্রিয়াই চলে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হিসেবে তাকে পাঠানো হয় হোমে। তারপর মুক্তি পায় সে। শুরু করে নতুন জীবন।
নতুন অধ্যায় শুরু করেছে ও। নতুন নামও নিয়েছে। জানিয়েছে যুবকের সংশোধনী প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা এক NGO। জানা গেছে, জুভেনাইল বোর্ডের শাস্তির পর ৩ বছরের কারাবাসের সময় রান্না করতে শিখেছে ওই যুবক। বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের কোনও এক শহরে রাঁধুনীর কাজ করে সে। তার অতীতের পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন বর্তমানের নিয়োগকর্তা।
রাজধানী দিল্লি থেকে বহু দূরে পাঠিয়েছি ওকে। যাতে কেউ আর ওর খোঁজ না পায়। ও যাতে নতুন জীবন শুরু করতে পারে। দক্ষিণের কোনও এক উপকূলবর্তী এলাকায় রাঁধুনীর কাজ করছে ও। ওই NGO সূত্রে এমনই জানা গেছে।
শোনা যায় এই নাবালকই সব চেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছিল ওই তরুণীর উপর। যদিও এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি ওই NGO-র।
প্রসঙ্গত, নির্ভয়াকাণ্ডের ৩ বছর পর সংসদে পাশ হয়েছিল জুভেনাইল জাস্টিস বিল। যা অনুযায়ী, ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে ১৬ বছরের উপর বয়স হলেই প্রাপ্তবয়স্কদের আইনে বিচারের নিদান দেওয়া হয়।