রমজানে দশটি কাজ থেকে বিরত থাকুন
ডেস্ক রিপোর্ট :
১। অতি তাড়াতাড়ি সেহরি খাওয়া
নবী মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমরা যেন সেহরি দেরিতে করি। ঠিক ফজরের আগে আগে সেহরি খাওয়া উত্তম।
২। ভোজন বিলাস
দুঃখজনক হলেও সত্য, কোথাও কোথাও রমজান মাস যেন ভোজ-বিলাসের মাস। ইংরেজিতে সুন্দর শোনায়, Feast instead of fast. অথচ প্রকৃতপক্ষে উপবাসের মাস। এবং যারা দারিদ্র্যের কারণে সারাবছর উপবাস করে থাকে তাদের অনুভূতি অনুভব করার মাস। তাই তাদেরকে বেশি বেশি করে দান করতে হবে। ইফতার করাতে হবে।
৩। দেরিতে ইফতার করা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ইফতার করা উত্তম।
৪। ইফতার পার্টি
ইফতার করানো সাওয়াবের কাজ। তবে পার্টির আয়োজন যেন মাগরিবের নামাজ কাজা না হয়। কিংবা তারাবির নামাজ যেন ছুটে না যায়।
৫। রাগান্বিত হওয়া
ইংরেজিতে বলা হয়, Hungry man is an angry man. এমন যেন না হয়। রোজা রাখার সময় নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অতীব জরুরি। অন্যথায় রোজা দুর্বল হয়ে পড়ে।
৬। ফরজ ছেড়ে দেওয়া
রমজানে তারাবির নামাজের সময় মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হলেও দিনের অন্যান্য নামাজের ওয়াক্তে মসজিদ ফাঁকা থাকে। এমনটা যেন না হয়। তারাবির নামাজ সুন্নত। সুন্নত তারাবির টানে মসজিদমূখী হয়ে পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজও দায়িত্বের সাথে পালনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৭। ফিৎনা- ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া
আজকাল মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু তবু রমজানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করতে হবে। মোবাইল হাতে নেওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে আমাদের নিয়্যত আল্লাহর কাছে শপে দিতে পারি।
৮। তাড়াহুড়ো করে কোরআন তেলাওয়াত
রমজানে কেউ কেউ চার/পাঁচ বার কোরআন খতম করেন শোনা যায়। তাড়াহুড়ো না করে বুজে শুনে তিলাওয়াত করলে বরং উত্তম।
৯। কোরআন বোঝার চেষ্টা না করা
আরবি ভাষায় পবিত্র কোরআন যখন নামাজের মধ্যে তেলাওয়াত করা হয়, স্বভাবতই আমরা বুঝতে পারি না। এমনকি অনেক ইমামও নিজে সবসময় অর্থ বুঝেন না। তবু কোরআন যেহেতু আল্লাহর বাণী, আমাদের সামনে যখন তা পাঠ করা হয়, আমরা যেন মনোযোগ সহকারে শুনি।
১০। রাতের পেঁচা
যুবকদের অনেকেই সারারাত নিজের সকল প্রয়োজন সারেন। দিনের বেলা অর্ধেক সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন।