ধ্বংসাত্মক কাজ করলে আইন আপন গতিতে চলবে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৬:৪২,অপরাহ্ন ১৪ জুলাই ২০২৪ | সংবাদটি ৪৩ বার পঠিত

সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না হয়, ততক্ষণ সরকারের কিছু করার থাকে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কাজ করলে, আইন আপন গতিতে চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চীন সফর নিয়ে রোববার (১৪ জুলাই) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চ আদালত যখন কোনো রায় দেন, তখন আমাদের তো কিছু করার থাকে না । কারণ কোর্টের রায় কোর্টেই সমাধান করতে হবে। যারা আন্দোলন করছে তারা তো আইন মানবে না, আদালত মানবে না, সংবিধান কি তা তারা চেনে না?
তিনি বলেন, একটি কাজ করতে গেলে যে নীতিমালা বা ধারা থাকে, একটি সরকার কীভাবে চলে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই এদের নেই, কোন জ্ঞানই নেই। হ্যাঁ, পড়াশোনা করছে, ভবিষ্যতে এরাই তো দেশ চালাবে, নেতৃত্ব দেবে। এ ধারণাগুলো দরকার। আমাদের সংবিধান কী বলে, তা মেনে চলা উচিত।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় কীভাবে কাজ হয়, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে? সে ধারণা তো আমরা দেখি না। যখন (বিষয়টি) আদালতে চলে গেল, আদালতে সমাধান হবে। আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছেন। বলেছেন আপনারা আসুন, বলুন, আর্গুমেন্ট করুন। তারা আদালতে যাক, বলুক; না তারা রাজপথে সমাধান করবে!
সরকার প্রধান বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে এখন এ মুহূর্তে আমার তো দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নাই। সংবিধানও বলে না, পার্লামেন্ট বলে না, কার্যপ্রণালী বিধিও বলে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না হয়, ততক্ষণ আমাদের এখানে কিছু করার থাকে না। এটিই হলো বাস্তবতা, এ বাস্তবতা তাদের মানতে হবে। না মানলে কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, রাজপথে আন্দোলন করছে, করতেই থাকবে। তবে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। যতক্ষণ তারা শান্তিপূর্ণভাবে করে যাচ্ছে, কেউ কিছু বলছে না। এর বাইরে যখন কিছু করবে, পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া বা পুলিশের গাড়ি ভাঙা বা আক্রমণ, এসব যদি কিছু করতে যায়, তখন আইন তার আপন গতিতে চলবে। এখানে আমাদের কোনো কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা হতে দিতে পারি না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতিপুতিরা কেউ মেধাবী নয়, যত রাজাকারের বাচ্চা-নাতিপুতিরা মেধাবী?