শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গু’লি: এই অস্ত্রধারী কে
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৪:২৩,অপরাহ্ন ১৬ জুলাই ২০২৪ | সংবাদটি ৫২ বার পঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।
সংঘর্ষ এক ছবিতে দেখা যায়, মাথায় হেলমেট পরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক তরুণের ছবি দেখা যায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই ছবিতে তাকে গুলি করতে দেখা যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বিকেলে কার্জন হল এলাকায় ওই তরুণ দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলি করছিলেন।
পিস্তল নিয়ে হামলায় অংশ নেয়া যুবকের নাম হাসান মোল্লা। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোল্লা আবু কাওসারের ভাগ্নে বলে জানা গেছে। ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারি করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই যুবক তাদের লক্ষ্য করে গুলি করছিলেন। গতরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তরুণের ছবি শেয়ার করে নানা আলোচনা-সমালোচনা করা হচ্ছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের সময়কে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজন তরুণকে গুলি করার ছবি তারা ফেসবুকে দেখেছেন। তবে ওই তরুণের পরিচয় তারা জানেন না। ঘটনাটি কোন জায়গার তাও তারা জানেন না। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এদিকে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ দাবি করে রবিবার দিনগত রাতে রাস্তায় নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।
রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিনভর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের শত শত শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যেই ৩০০ জন চিকিৎসা নেন ঢামেক হাসপাতালে।
এদিন, বিকেল ৪টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ঢাকা মেডিকেলে আসতে থাকেন সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টা নাগাদ ৩০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার হিসাব পাওয়া যায়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেল ৩টায় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর দুপক্ষই ইট-পাটকেল লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন। যোগ দেন ঢাকা কলেজসহ ছাত্রলীগের আরও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।