কানাডা থেকে প্রেমের টানে ভারতে, প্রাণ গেল প্রেমিকের হাতেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৫:৫৭,অপরাহ্ন ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | সংবাদটি ৬৪ বার পঠিত
কানাডা থেকে প্রেমের টানেই ছুটে এসেছিলেন ভারতের হরিয়ানার ছোট্ট গ্রামে। কিন্তু কয়েক মাস পার হতে না হতেই সেই ভালবাসা যে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি এই যুবতী। প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে এবং তাকে বিয়ে করতেই কানাডার চাকরি ছেড়ে হরিয়ানায় এসেছিলেন বছর তেইশের নীলম। যে প্রেমিকের জন্য নিজের কেরিয়ারের জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন, সেই-ই হত্যা করল তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতীর মাথায় গুলি করে খুন করা হয়। এরপরে মৃত দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত বছরের জুন মাস থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবতী। গত মঙ্গলবার হরিয়ানার গুমাদ গ্রাম থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। পুলিশি জেরায় ওই যুবতীর প্রেমিক অপহরণ ও খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। খবর এনডিটিভির
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের জুন মাসে নীলমের দিদি রোশনী গান্নৌর পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সময় তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রোহতক থেকে আইইএলটিএস দিয়ে কানাডায় চাকরি করতে গিয়েছিল তার বোন। কিন্তু ২০২২ সালের জুন মাসে তার প্রেমিক সুনীল তাকে বিয়ের টোপ দেন এবং ভারতে ফিরে আসার কথা বলেন। মিথ্যা বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করেই তার বোন ফিরে আসে। কিন্তু তারপর থেকেই আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ জানায় নিখোঁজ যুবতীর পরিবার।
জুন মাসে যেদিন নীলমের ফেরার কথা ছিল, সেদিন থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না বলে জানা গেছে। ওই একইদিন থেকে সুনীলও নিখোঁজ ছিল বলে দাবি। পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে নীলমের পরিবার হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের কাছেও অভিযোগ জানান।
এরপরই ভিওয়ানির সিআইএ এর হাতে মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমেই সিআইএ সুনীলকে গ্রেফতার করে। পুলিশি হেফাজতে সুনীলকে জেরা করেই নীলমের দেহের খোঁজ পাওয়া যায়। হরিয়ানার গাহরি রোডে সুনীলের জমি থেকে ১০ ফুট গভীরে মাটি খুঁড়ে নীলমের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই কঙ্কাল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নীলমের মায়ের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত সুনীলের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন ও বেআইনি পিস্তল রাখার অভিযোগও রয়েছে।