যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে কতটা কাজে দেবে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৩:২১,অপরাহ্ন ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | সংবাদটি ১০ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলার অনুমতি ইউক্রেনকে দিয়েছে, যা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে। ইতিমধ্যে তারা সেটি দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলাও করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো তারা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
মার্কিনিদের এমন পদক্ষেপের পর বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে পারে।
লকহিড মার্টিন সূত্র বলছে, অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন এর প্রস্তুতকারক। উৎক্ষেপণ করতে প্রয়োজন এম২৭০ মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস) অথবা চাকাযুক্ত এম১৪২ হাই-মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স)। প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ব্যয় প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার । তরল জ্বালানি নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র চলে সলিড রকেট প্রপোলেন্ট দিয়ে। উৎক্ষেপণ করার পরপরই এটি দ্রুতগতিতে অনেক ওপরে ওঠে। বায়ুমণ্ডলে দ্রুতগতিতে বড় বাঁক নিয়ে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটতে থাকে। পৃথক দুই ধরনের বোমা (ওয়ারহেড) বহনে সক্ষম। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে এর প্রথম ব্যবহার করা হয়।
ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া নতুন এসব ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এসব ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অনেক গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম।
তথ্য বলছে, হিমার্সের পাল্লার আওতায় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। ৩ দশমিক ৯৮ মিটার দৈর্ঘের এবং শূন্য দশমিক ৬১ মিটার প্রস্থের এসব অস্ত্র অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। এর ওজন ১৩২১ কেজি থেকে ১৬৭৩ কেজি হতে পারে। বিস্ফোরণে গোটা লক্ষ্যবস্তু কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটিএসিএমএস ব্যবহারে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার ভূখণ্ডে তাণ্ডব চালাতে সক্ষম হবে। এতে যুদ্ধ রাশিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। রাশিয়ার জনগণও যুদ্ধের ভয়াবহতা আঁচ করতে পারবে । ফলে যুদ্ধ আর একতরফা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে থাকছে না।
তবে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকেই নজর দিতে হবে। পারমাণবিক শক্তিধর দেশটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নিজেদের অন্যতম উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সর্বশেষ ইউক্রেনের এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে তারা। এর মানে, ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করেও প্রথম দফায় হেরে গেছে ইউক্রেন।