১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৪:৫৫,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | সংবাদটি ১৭ বার পঠিত
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পরও ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পেলে চলতি ডিসেম্বর মাসেই ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে এই রিজার্ভ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন এসব তথ্য জানা গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৭৫ বিলয়ন ডলার।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে। এর প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ নভেম্বর আকুর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম-৬) নেমে যায়। গত এক মাসে বিদেশি মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও তা ১৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে, যা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বর্তমানে যা ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে। কোনো একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে এখন বাংলাদেশ শেষ প্রান্তে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ১ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হলে এ মাসেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, রিজার্ভ চলমান একটি বিষয়। একবার কমবে, আবার বাড়বে। এখন প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক, রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। শিগগির ২০ বিলিয়ন ডলারে রিজার্ভ উন্নীত হবে বলে আশা করছি।