স্কুলে ভর্তি তদারকিতে একগুচ্ছ কমিটি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১২:২৩,অপরাহ্ন ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | সংবাদটি ২ বার পঠিত
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি তদারকিতে কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। শুধু রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তিতে অনিয়ম হচ্ছে কি না তা তদারকিতে ১৭টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন, মতিঝিল আইডিয়াল ও রাজউক উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তি তদারকিতে তিন সদস্যের একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর বাইরে আর ঢাকার অন্য সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর ভর্তি তদারকিতে আরও ১৬টি কমিটি করা হয়েছে।
রাজধানীর বাইরে প্রত্যেক শিক্ষা অঞ্চল, জেলা ও উপজেলার সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর ভর্তি তদারকিতে তিন সদস্যের আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিগুলোতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালক-উপপরিচালকের কার্যালয়, থানা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, স্কুলগুলো লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করেছে কি না, ভর্তি নীতিমালার বাইরে কোনো আসন সংরক্ষণ করেছে কি না, ভর্তি-সেশন ফি ও ফরম পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত নিচ্ছে কি না, এ বিষয়গুলো তদারকি করতে এসব কমিটি।
‘এছাড়া বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায় ও এনসিটিবির অনুমোদনহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে কি না সে বিষয়গুলোও দেখে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।’
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন, মতিঝিল আইডিয়াল ও রাজউক উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তি তদারকির জন্য গঠিত কমিটিকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে এবং অন্যান্য কমিটিগুলোকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
আগামী বছরে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় লটারির মধ্যে ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
অন্যদিকে, মহানগর ও জেলা সদরের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৭ হাজার ৮৮৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
সরকারি স্কুলে ভর্তির প্রথম অপেক্ষমান তালিকায় ৭৯ হাজার ৫০২ জন ও বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন রয়েছে। আর দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ৫৮ হাজার ৫৫৮ জন ও বেসরকারি স্কুলে ৬৭ হাজার ৫১৪ জন রয়েছে।
নির্বাচিত ও অপেক্ষমান তালিকার শিক্ষার্থীদের আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি নিতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সময় বেসরকারি স্কুলগুলো নির্ধারিত টিউশন ফি’র বাইরে যেন অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পারে সেজন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তদারকি করতে বলেছে অধিদপ্তর।