পঞ্চগড়ে করতে হবে চীনা হাসপাতাল: রাশেদ প্রধান

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেছেন, “বাংলাদেশে এখন বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসেছে। চীনের অর্থায়নে নির্মিতব্য ১,০০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতাল পঞ্চগড়েই স্থাপন করতে হবে।”

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পঞ্চগড় জেলা সমিতি, ঢাকা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের মূল দাবি ছিল—পঞ্চগড়ে চীনের সহায়তায় প্রস্তাবিত হাসপাতাল স্থাপন নিশ্চিত করা।

রাশেদ প্রধান বলেন, “ঢাকা থেকে সবচেয়ে দূরে পঞ্চগড়। হয়তো এ কারণেই আমাদের কষ্টের আর্তনাদ ঢাকায় পৌঁছায় না। পঞ্চগড়ের ১২ লাখ মানুষের জন্য শুধুই প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ আছে। জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য রংপুর বা দিনাজপুর যেতে হয়, যেখানে অনেকেই পথেই মারা যান।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করতে চাই না, চাই নিজের মাটিতে, পঞ্চগড়ে চিকিৎসা নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে এবং মরতে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে পঞ্চগড় বহু এমপি-মন্ত্রী-স্পিকার দেখেছে, কিন্তু উন্নত হাসপাতাল পায়নি। এখন সময় এসেছে এই অবহেলার অবসান ঘটানোর।”

রাশেদ প্রধান স্মরণ করিয়ে দেন, “২০২৩ সালে চীনের রাষ্ট্রদূত পঞ্চগড়েই এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ভারত সরকারের আপত্তির মুখে শেখ হাসিনার সরকার প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। এখন কেন পঞ্চগড় বাদ দিয়ে নতুন স্থান খোঁজা হচ্ছে?”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পঞ্চগড়ের মানুষকে আন্দোলনে বাধ্য করবেন না। অবহেলিত উত্তরবঙ্গের এই জেলার মানুষের দাবি ন্যায্য এবং সঠিক। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, পঞ্চগড়বাসীর দাবি মেনে নিন।”

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চগড় জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. আব্দুর রহমান। এতে ঢাকায় অবস্থানরত সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।