গাইবান্ধায় মোট ১১ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৩:১৪,অপরাহ্ন ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | সংবাদটি ১৭ বার পঠিত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত গ্রামে সাতজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এর আগে ওই উপজেলায় চারজনের শরীরে একই ধরনের উপসর্গ ধরা পড়ে। এ নিয়ে শনিবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত মোট ১১ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা সবাই গবাদিপশু কাটাকাটির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে গাইবান্ধা শহরের রাবেয়া ক্লিনিকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মনজুরুল করিমের কাছে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন সাতজনের মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ধরা পড়ে। রাবেয়া ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, মনজুরুল করিম প্রতি শুক্রবার গাইবান্ধায় এসে রোগী দেখেন। ওই দিন তিনি ২০–২৫ জন রোগীর পরীক্ষা করেন। তাদের মধ্যে কিশামত গ্রামের সাতজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে রাতে হাসপাতালে খোঁজ নেওয়ার পর দেখা যায়, কেউ ভর্তি হয়নি। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চিকিৎসক মনজুরুল করিম বলেন, “অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে সাধারণত এই রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় রোগ সেরে যায়।”
কিশামত গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজার রহমান জানান, কয়েক দিন আগে গ্রামের লোকজন একটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করেন। গ্রামের ১১ জন এতে অংশ নেন। দুই–তিন দিন পর চারজনের শরীরে ফোসকা এবং মাংস পচনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত, নাক, মুখ ও চোখে উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। চারজন হলেন মোজা মিয়া (৫৬), মোজাফফর মিয়া (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৫০) ও মাহবুর রহমান (৫৫)। তারা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, “কিশামত গ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়েছে।”
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন রকিবুজ্জামান জানান, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চর্মরোগ লক্ষণ দেখা দেয়। কেউ যদি শ্বাসকষ্ট অনুভব করে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের রোগী ভর্তি হয়নি।




