তারেকের আমজনতাসহ নিবন্ধন পাচ্ছে ২ দল
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৮:৩১,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | সংবাদটি ২ বার পঠিত
টানা ১২৫ ঘণ্টার কঠোর আমরণ অনশনের পর অবশেষে দাবি আদায় হলো। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমজনতার দল’। একই সঙ্গে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে ‘জনতার দল’ নামের আরও একটি সংগঠন। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আন্দোলনের পর এই দুটি দল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির স্বীকৃতি পেতে চলেছে।
এই দুটি রাজনৈতিক দলকে ইসি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সচিব আখতার আহমেদ।
এদিনই আমজনতার দলকে প্রজাপতি প্রতীকে এবং জনতার দলকে কলম প্রতীকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দল দুটির বিষয়ে আপত্তি থাকলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) নিবন্ধন দেওয়া হয়।
নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সামনে অনশনে বসেন আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। ছয় দিনের মাথায় ৯ নভেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ‘আশ্বাসে’ তিনি অনশনে ইতি টানেন।
তারেকের দলসহ নতুন করে দুটি দল নিবন্ধন পেলে মোট চারটি দলের নিবন্ধন আসবে নাসির কমিশনের হাত ধরে।
নিবন্ধন পেতে আগ্রহী নতুন দলের কাছ থেকে এ বছরের ১০ মার্চ আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। একদফা সময় বাড়ানোর পর ২২ জুনের মধ্যে ১৪৩টি দল আবেদন করে।
নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১২১টি দল। বাকি ২২টি দলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত চালায় ইসির এ সংক্রান্ত কমিটি। ৩০ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একটি দলের বিরুদ্ধে ফের আপত্তি উঠে। এরপর পুনঃতদন্তে যায় কমিশন।
সবশেষ ৪ নভেম্বর জানানো হয়, তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হবে; এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) ‘কাঁচি’ এবং বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশ্যাক’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কারও আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে লিখিত আবেদন করতে বলা হয়। এরপর আপত্তি আসায় আম জনগণ পার্টি বাদ পড়ে এবং দুটির নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হয়।
এরপর অনশনকারী তারেক রহমানের আমজনতার দলের বিষয়ে পুনঃতদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়।
সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালে। তখন থেকে এ পর্যন্ত ৫৯টি দল নিবন্ধন পেয়েছে। এর মধ্যে স্থগিত রয়েছে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন; বাতিল হয়েছে ফ্রিডম পার্টি, ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন।




