যৌতুকের দাবীতে স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে স্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৭:৫১,অপরাহ্ন ০৩ এপ্রিল ২০২৩ | সংবাদটি ৫৭ বার পঠিত
চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক না পেয়ে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার আবিদা খাতুন (১৯) কে গুরুতর আহত অবস্থায় বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আবিদা খাতুন বাহুবল উপজেলার মিটাপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা ।
এর আগে (৩ এপ্রিল) শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুদিয়াখলা স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার পরিবার। পরে রাত ১২ টায় বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আবিদা খাতুনের অভিযোগ, প্রায় চার বছর পূর্বে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুদিয়াখলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোস্তাক আহমদের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ।
তাদের কোলজুড়ে ৩ বছরের মারিয়া নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী মোস্তাক আহমদ সবসময় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। আবিদা খাতুন দাবি করেন, যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ১ এপ্রিল স্বামী মোস্তাক আহমদ, ভাসুর, এমরান মিয়া ও শাশুড়ী সখিনা খাতুনসহ সবাই মিলে তাকে অ-মানসিক শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে ঘরের মধ্যে আটক করে রাখেন । সু- কৌশলে আবিদা খাতুন ফোনে তার পিতাকে অবগত করেন এবং তাকে উদ্ধারের জন্য জানান ।
মেয়ের নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনারদিন আবিদার বৃদ্ধ পিতা আব্দুল জলিল মেয়েকে দেখতে গেলে স্বামী মোস্তাক ও তার পরিবার তাকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেন এবং আবিদাকে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন । এতে আবিদার তলপেট সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয় ফলে আবিদার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে । বাহুবল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আবিদার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে কথা হয় নির্যাতনের শিকার আবিদার পিতা আব্দুল জলিলের সাথে তিনি জানান, আদরের মেয়েকে মারধর করার খবর পেয়ে তাকে চিকিৎসা দিতে মোস্তাকের বাড়ি যাই । মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নেয়ার কথা বলতেই তার ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন মোস্তাক ও তার পরিবারের লোকজন ।
পরে বাধ্য হয়ে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উদ্ধারের আবেদন জানান। আদালত উদ্ধারের জন্য আদেশ দিলে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একাধিকবার আমার মেয়কে নির্যাতন করেছে তার স্বামী। বিগত ২০২২ সালে ফের যৌতুকের জন্য আবিদাকে নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বিদায় করে দিলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয় । কিন্তু জেলের ভয়ে মোস্তাক আহমদ নির্যাতন না করার শর্তে মুছলেকার মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা করে আবিদাকে তাহার জৌজিয়তে নিলেও বন্ধ করেনি নির্যাতন। বাধ্য হয়ে তারা মামলা করেন। এ ঘটনায় আবিদা বিচার চান। এ ব্যাপারে স্বামী মোস্তাকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। সে পলাতক রয়েছে বলে প্রতিবেশীরা