শিশুপুত্রকে গলাকেটে হত্যা, মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২১:৩৮,অপরাহ্ন ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | সংবাদটি ৩১ বার পঠিত
লক্ষ্মীপুরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে নিজের শিশুপুত্রকে গলাকেটে খুনের দায়ে মাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মতলবপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিন শিল্পী (২৮)।
নিহত শিশু লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামের আজিমুর রহমান আজিমের ছেলে আয়ানুর রহমান আয়ান (৩)।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে আজিমুর রহমান আজিমের সঙ্গে সাবিনার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় আজিম সৌদি আরবে চলে যান। তাদের ঘরে আয়ানুর রহমান আয়ান নামে একটি শিশুপুত্রের জন্ম হয়। সাবিনা ছেলেকে নিয়ে তার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামের হারুন খাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রবাসী স্বামী আজিমের সঙ্গে পারিবারিক নানা কারণে ঝগড়া হতো সাবিনার।
এদিকে ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে সাবিনার সঙ্গে আজিমের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাবিনাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন আজিম। এতে স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাতেই সাবিনা ধারালো বটি দিয়ে তার ঘুমন্ত শিশুপুত্রকে গলা কেটে খুন করে। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার ও সাবিনাকে আটক করেন। পরদিন শিশুটির দাদা মো. হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে পুত্রবধূ সাবিনাকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল মিয়া। সাবিনা ছেলেকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সাবিনাকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঘটনার দেড় বছরের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।