আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবি
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৪:১৩,অপরাহ্ন ১৪ মে ২০২৪ | সংবাদটি ১১০ বার পঠিত

দেশের সবচেয়ে বড় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রোগ্রামিং কোডিং (সামুরাই-২০২৪) প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) টিম ‘ডিফাইন কোডারস’।
চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্যরা হলেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নাফি উল্লাহ শাফিন, ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মেহরাজুল ইসলাম ও শাওন মাজিদ।
প্রতিযোগিতাটি গত ১০ ও ১১ মে দুইদিন ব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজিত হয় এবং ১২ মে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন টিমের সদস্য মেহরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ-জাপান যৌথ ভেঞ্চার কোম্পানিসহ বেশকয়েকটি জাপানি আইটি কোম্পানির সহযোগিতায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৭টি দল অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬টি দল ফাইনাল পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। এরমধ্যে শাবিপ্রবির ৭টি দল অংশ নেয়।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্য মেহরাজুল ইসলাম বলেন, এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন প্রোগ্রাম ছিলো। আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খুব ভালো লেগেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ভবিষ্যতেও দেশ-বিদেশে এমন মেগা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসতে চাই।
চ্যাম্পিয়ন টিমেরদের অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা, সুশাসন ও অবকাঠামোগত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে কাজ করছে আসছে। আমরাও শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছি, এটা চলমান রয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ভালো করবে। এতে আমরা ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর নিয়োগ দিয়েছি। এছাড়াও এপিএ র্যাংকিংয়েও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি। আশা করছি আগামীতে প্রথম হবো। পরিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।