রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলা: ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৫:৫০,অপরাহ্ন ১৮ মে ২০২৪ | সংবাদটি ৩৫ বার পঠিত
রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রসীত বিকাশ নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকালে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সদস্যের তিনক চাকমা (৫০) ও দুদকছড়া গ্রামের জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধন্যমতি চাকমা (৪০)।
জানা যায়, শুক্রবারে রাতে ইউপিডিএফের দুই কালেক্টর মনপতি বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থানের খবর পায়। পরে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র দলের সদস্যরা সেখানে হানা দিলে দুজনকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত একজনের নাম তিলক চাকমা, অন্যজনের নাম ধন্যরাম চাকমা।
রাঙামাটির সহকারী পুলিশ সুপার (বাঘাইছড়ি-লংগদু) সার্কেল আবদুল আউয়াল বলেন, এলাকাটি অনেক দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ বিবৃতি দিয়েছে। ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।