নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪০:২৮,অপরাহ্ন ২০ জুন ২০২৪ | সংবাদটি ৪৬ বার পঠিত

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, আগাম বন্যার কবল থেকে সিলেট নগর ও সুনামগঞ্জকে রক্ষায় সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে। এজন্যে নদী খকনে দেশের ৯টি স্থানে ড্রেজিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সিলেট নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডের টুকেরবাজার এলাকার শাদীখাল পরিদর্শনকালে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ।
এছাড়া সুনামগঞ্জেরও বন্যা পরিস্থিতি নিরসনে আরো ২০ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে। মোট ৩০টি নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকা একনেকে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উজান থেকে আসা পানির বিভিন্ন পলিমাটিও আসে সে পলিমাটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। নদীতে পলিমাটি থাকার ফলে এর আগেও ড্রেজিং কাজ ব্যাহত হয়েছিল। প্রকৌশলীদের সাথে আলাপ করেছি দ্রুত সুরমা নদী ড্রেজিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসাথে নদী ভাঙন, পলিমাটি অপসারণে নিয়মিত নদী খনন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কিশোরগঞ্জের মিটামইন সড়ক দিয়ে পানি পারাপারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিয়মিত আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন আমরা আগাম বন্যা পরিস্থিতি রুখতে সুরমা নদী খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে প্রতি বছর বন্যা হয়। এ জন্য ২ হাজার কোটি টাকায় ২০টি নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেটি একনেকে পাসের অপেক্ষায় আছে। এটা বাস্তবায়ন হলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থাই নিচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর,বিরামপুর বন্যার্থ এলাকায় ত্রান বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আশ্রয় কেন্দ্র ও খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে। এছাড়া বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সড়ক নির্মাণ দ্রুত কাজ করা হবে।
তিনি বলেন, হাওরে প্রতি বছর বন্যা হবে মেঘালয়ের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নেমে হাওরাঞ্চলে প্লাবিত হবে আর এটা মেনেই এ অঞ্চলে বসবাস করতে হবে। তবে সুনামগঞ্জসহ ২০টি নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেটি একনেকে পাসের অপেক্ষায়। এসব নদী খনন করা হলে হাওরের পানি হাওর থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী সংসদ সদস্য এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ রঞ্জিত সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহশান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন প্রমুখ।