ভারতীয় চোরাই চিনির বিরুদ্ধে সিলেট জেলা পুলিশের অ্যাকশন শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৬:০২,অপরাহ্ন ১৬ জুলাই ২০২৪ | সংবাদটি ৪৮ বার পঠিত
কিছুটা দেরীতে হলেও ভারতীয় চোরাই চিনির চালান আটকাতে সিলেট জেলা পুলিশের অ্যাকশন শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে তারা বড় বেশ কয়েকটি চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সিলেটের সীমান্তবর্তি থানাগুলোর তৎপরতাও বেড়েছে।
গত ১০ জুলাই নতুন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান সিলেটে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল চারটায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
এসময় সাংবাদিকরা তাকে জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন ও মহানগর গোয়েন্দাপুলিশের অভিযানে প্রায় প্রতিদিনই ভারতীয় চোরাই চিনির চালান আটক করছে। এর মধ্যে পৌনে দুই কোটি টাকার চালান পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জেলা পুলিশের কোন সফলতা নেই। অথচ এই চিনির চালান জেলা পুলিশের সীমানা পেরিয়ে মহানগর এলাকায় আসে।
পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান বিষয়টি নোট করেন এবং বলেন আমি ব্যবস্থা নেব তবে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
দুই দিনে মধ্যে শুরু হয় সিলেট জেলা পুলিশের অ্যাকশন।
শনিবার (১৩ জুলাই) জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি অভিযানে জৈন্তাপুর থানাধীন চিকনাগুল এলাকায় পৃথক অভিযানে ভারতীয় চিনিভর্তি দুটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাক দুটি তল্লাশি করে ৪৮০ বস্তা চিনি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় চিনি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও দুজন চালককে আটক করা হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোয়াইনঘাট থানাপুলিশের একটি টিম উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রতাপপুর গ্রামের আমান উল্লাহের বসতঘর থেকে ৯৮ বস্তা ও গণি মিয়ার বসতঘর থেকে ২৮৯ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করে। এসময় আমান উল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাত ও সোমবার ভোরে দুটি অভিযানে ৪৪৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ থানাপুলিশ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অভিযানে আটক করা হয় চার চোরাকারবারিকে।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, জকিগঞ্জ থানাপুলিশের একটি টিম সোমবার (১৫ জুলাই) ভোরে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের নিজগ্রাম গেইট নামক স্থানে একটি ডিআই পিকআপ আটক করে। পরে তল্লাশি চালিয়ে সে পিকআপ থেকে ৫৮ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করে পুলিশ।এসময় তিনজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মুসলিম উদ্দিন (২২), জসীম উদ্দিন (৩৮) ও আক্তার উদ্দিন (২৪)।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এ প্রসঙ্গে দৈনিকসিলেটডটকমকে বলেন, এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। শুধু ভারতীয় চিনি নয় আমারা মাদক এবং পাতার বিড়িসহ সকল ধরণের অবৈধ মালামালের চালান আটকাতে কাজ করছি। তিনি বলেন পুলিশের প্রতি সিলেটের মানুষের অনেক জনপ্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।