চীনের লাল রঙা সৈকত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৬:০১,অপরাহ্ন ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদটি ৩৪ বার পঠিত
রেড বিচ। চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের পাঞ্জিনে অবস্থিত বিস্ময়কর এক লাল রঙা সৈকত। নাম রেড বিচ হলেও সেখানে বালু দেখতে পাওয়া যায় না। বরং একপ্রকার সামুদ্রিক শৈবালের রাজত্ব গড়ে উঠেছে সেখানে।
এপ্রিল-মে মাসে সবুজ থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে উজ্জ্বল লাল বর্ণ ধারণ করে এসব শৈবাল। আর এ লাল উদ্ভিদের জন্য এটিকে রেড বিচ বা লাল রঙা সমুদ্র বলা হয়ে থাকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, গ্লোবাল টাইমস।
স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন অনুসারে চীনের এ অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম জলাভূমিগুলোর মধ্যে একটি। তবে সবসময় এ জলাভূমিত লাল রঙের উপস্থিতি দেখা যায় না। শুধু বছরের একটি সময়ই এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা। আর সেই সময়টি হলো সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি।
এ সময় টকটকে লাল রঙে পরিণত হয় বৃহত্তম এ জলাভূমি। সেসময় দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রকৃতি লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। আর এ সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হতেই বিশ্ববাসী ছুটে যান সেখানে। অন্য সময় সবুজ উদ্ভিদই দেখা যায় জলাভূমিটিতে।
প্রকৃতিবিদদের মতে, সিপউইড প্রজাতির উদ্ভিদ শরৎকালে হঠাৎ তাদের রং বদলায়। এর কারণ হলো এ উদ্ভিদ উচ্চমাত্রার লবণাক্ততা শোষণ করতে পারে। এ জলাভূমির আশপাশের সমুদ্রের নোনা পানির কারণেই একসময় সবুজ রঙের সিপউইড উদ্ভিদ লাল রঙে পরিণত হয়। বসন্তে সিপউইড সবুজ হয়েই জন্মায়। তারপর গ্রীষ্ম থেকে এটি ধীরে ধীরে রং পরিবর্তন করে। অবশেষে শরতে টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করে। সেখানকার সৌন্দর্য দেখতে প্রতি শরতে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন। সিএনএন-এর তথ্য অনুযায়ী, দুই মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক প্রতিবছর ভিড় করেন সেখানে। রেড বিচ ছাড়াও অঞ্চলটি ২৬০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল। এমনকি এ জলাভূমি ধান ও বাঁশের জন্যও বিখ্যাত।
ট্রাভেল চায়না গাইড অনুসারে, এ রেড বিচের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখার সেরা সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। এর আগে বা পরে গেলে সিপউইড ততটা লাল হবে না। আর বেশি দেরি করে গেলে উদ্ভিদগুলো মরে যেতে পারে। তাই সময়মতো গেলেই কেবল দেখতে পাবেন লাল সৈকত। তবে সেই শৈবালের ওপর দিয়ে হাঁটার সুযোগ নেই পর্যটকদের। দীর্ঘ সেতু দিয়ে ঘুরে দেখা যায় সৈকতের আংশিক অঞ্চল। এছাড়া পর্যটকদের বিকাল ৫টার মধ্যেই সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।