গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের যুক্তরাজ্য সফরের ভিসার জন্য সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি। রিমান্ডে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার জন্য যাবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যাচ্ছেন বলেই তাকে এবং তার দলকে ভিসার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। এটা আমার করবো। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরে আমার তো মনে হয় না তার কোনো সমস্যা হওয়ার ব্যাপার আছে। সেখানে তার নিজস্ব সংগঠন আছে। আমাদের মিশন আছে। যেটুকু নিয়ম অনুযায়ী করার আমরা অবশ্যই করবো। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হতাহত নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রতিবেদন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসন জানান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে কথা বার্তা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে অতি দ্রুত উনাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি, আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’ উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৩:৩৬,অপরাহ্ন ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদটি ৫ বার পঠিত
গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের যুক্তরাজ্য সফরের ভিসার জন্য সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার জন্য যাবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যাচ্ছেন বলেই তাকে এবং তার দলকে ভিসার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। এটা আমার করবো।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরে আমার তো মনে হয় না তার কোনো সমস্যা হওয়ার ব্যাপার আছে। সেখানে তার নিজস্ব সংগঠন আছে। আমাদের মিশন আছে। যেটুকু নিয়ম অনুযায়ী করার আমরা অবশ্যই করবো।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হতাহত নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রতিবেদন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসন জানান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে কথা বার্তা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে অতি দ্রুত উনাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি, আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।