আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত হাই কোর্টে স্থগিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৫:০৬,অপরাহ্ন ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | সংবাদটি ২৯ বার পঠিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
সারাহ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং এ মামলা কেন কোয়াশ (বাতিল) করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে রুল খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করেছিলেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট জিগাতলা এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল আলম। আন্দোলন প্রসঙ্গে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন। এরপর একই বছর ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল। পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের মার্চে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।