বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় ছেলের নাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫০:৪৩,অপরাহ্ন ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | সংবাদটি ৪ বার পঠিত
কুমিল্লায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারিতে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে আরাফাত হোসেন নামে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। বিষয়টি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লটারির ফলাফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
তবে শিক্ষা প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ফরম পূরণ করার সময় ভুলে এ বিদ্যালয়ের নাম দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও ওই ছাত্রের বাবার দাবি, তারা বালিকা বিদ্যালয়ের নাম পছন্দের তালিকায় দেননি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির প্রভাতি শিফটে ১১০ জন শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। এর মধ্যে তালিকার ৪১ নম্বরে রয়েছে আরাফাত হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম বলেন, মেয়েদের স্কুলে কীভাবে আমার ছেলের নাম এসেছে। পছন্দের তালিকায় ওই স্কুলের নাম দেওয়া হয়নি। আমি কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা হাইস্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম দিয়েছি পছন্দের তালিকায়। আমার ছেলের নাম কুমিল্লা হাইস্কুলেও এসেছে। তাকে এখানেই ভর্তি করাব।
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার কালবেলাকে বলেন, লটারিতে আমাদের স্কুলে একজন ছেলে শিক্ষার্থীর নাম চলে এসেছে। অভিভাবকদের ভুলে এটা হয়েছে। মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। তাই ওই শিক্ষার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ১২ থেকে শুরু করে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলে। এই প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।
আর ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন গৃহীত হয়। এই আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএস পদ্ধতি GSA ResultUser ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নাম্বারে।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ৩০ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদনের সময় ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই বলেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারি ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। এবারের ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা।