সীমান্ত বদলায়, সিন্ধুও একদিন ভারতে ফিরতে পারে: রাজনাথ সিং
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৪:৪১,অপরাহ্ন ২৪ নভেম্বর ২০২৫ | সংবাদটি ৫ বার পঠিত
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সিন্ধু অঞ্চল এখন হয়তো ভারতের সঙ্গে নেই, কিন্তু সীমান্ত তো বদলাতেই পারে এবং ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলটি ভারতে ফিরেও আসতে পারে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দিল্লিতে ‘সিন্ধি সমাজ সম্মেলনে’ তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সিন্ধু নদী সংলগ্ন সিন্ধু প্রদেশ ১৯৪৭ এর দেশভাগে পাকিস্তান অংশে পড়ে, ‘সিন্ধি’ বলে খ্যাত সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে হিুন্দুদের সিংহভাগই ভারতে চলে যান।
সে ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে রাজনাথ বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা বিশেষ করে লাল কৃষ্ণ আদভানির মতো নেতাদের প্রজন্ম ভারত থেকে সিন্ধুর বিচ্ছিন্ন হওয়া কখনোই মেনে নিতে পারেননি। আমি আরও উল্লেখ করতে চাই, লাল কৃষ্ণ আদভানি তার এক বইয়ে লিখেছেন সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তার প্রজন্মের লোকজন, এখনও ভারত থেকে সিন্ধুর বিচ্ছিন্নতা মেনে নেননি। কেবল সিন্ধু নয়, পুরো ভারতজুড়ে হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করে। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করেন, সিন্ধুর পানির পবিত্রতা মক্কার আবে জমজমের চেয়ে কম নয়। এটা আদভানি সাহেবের উদ্ধৃতি।
তিনি বলেন, আজ সিন্ধুর ভূমি হয়তো ভারতের অংশ নয়, কিন্তু সভ্যতা বিচার করলে সিন্ধু সবসময়ই ভারতের অংশ। ভূমির কথা বললে, সীমান্ত তো বদলাতেই পারে। কে জানে, আগামীকাল হয়তো সিন্ধু ভারতে ফিরেও আসতে পারে। সিন্ধুতে আমাদের লোকজন, যারা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন, সবসময় আমাদেরই থাকবেন। তারা যেখানেই থাকুন না কেন, তারা সবসময় আমাদেরই থাকবেন।
তার এ মন্তব্যকে ‘অসত্য, উসকানিমূলক ও বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়েছে পাকিস্তান। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে এমন মন্তব্য পরিহার করতে ভারতীয় মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
অন্যদিকে রাজনাথের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জয় সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজের (জেএসএমএম) নেতা শাফি বুরফাত। দলটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ।
বুরফাত ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে সিন্ধিদের জন্য ‘ঐতিহাসিক, উদ্দীপনামূলক ও প্রেরণাদায়ী’ আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, রাজনাথের মন্তব্য সিন্ধুর স্বাধীনতা ও ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যৎ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার আশা সৃষ্টি করেছে।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর মরক্কোতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে রাজনাথ বলেছিলেন, পাকিস্তানের হাতে থাকা কাশ্মীরের অংশের বাসিন্দারা ‘দখলদারদের’ কাছ থেকে মুক্তি চাইছে, যে কারণে কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াই কাশ্মীরের ওই অংশটুকু ভারতের কাছে ফেরত আসবে বলে তার বিশ্বাস। পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আমাদের হবে। দাবিদাওয়া ওঠা শুরু হয়েছে, আপনারা হয়তো স্লোগান দেওয়ার কথাও শুনে থাকবেন।




