জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করলেন ট্রাম্প
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৬:৫৮,অপরাহ্ন ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | সংবাদটি ৬ বার পঠিত
২০২৬ সালের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং জি-২০ জোটের সভাপতিত্ব নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বুধবার ট্রাম্প দাবি করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকরা ‘ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি চলতি বছরের জোহানেসবার্গ সম্মেলন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতীকীভাবে জি-২০ সভাপতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর সিন্ধান্তের সমালোচনা করেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো সংগঠনেরই সদস্য হওয়ার যোগ্য নয়।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি। ওয়াশিংটন বলেছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্য সহযোগিতা ও জলবায়ু ইস্যুসহ যেসব অগ্রাধিকার রয়েছে তা মার্কিন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রথা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জি-২০ সভাপতিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের বংশধর আফ্রিকানারদের লক্ষ্য করে চালানো কথিত ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যার’ অভিযোগ তুলেছিল। তবে সেই অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার আফ্রিকানারদের এবং ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূতদের ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন স্বীকারই করে না, সমাধানের চেষ্টা তো দূরের কথা। সোজা কথায়, তারা শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে এবং তাদের খামার জোর করে দখল করতে দিচ্ছে।’
পরে রামাফোসা ট্রাম্পের মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।
বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ জোটের সম্মেলন ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির ট্রাম্প ন্যাশনাল ডোরাল গলফ রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রিসোর্টটি ট্রাম্প পরিবারের মালিকানাধীন।




