বানিয়াচংয়ে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেল ৭০০ প্রান্তিক কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৪:৩২,অপরাহ্ন ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | সংবাদটি ৪৭ বার পঠিত
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (০৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে ৭শ’জন কৃষকের মাঝে ৫কেজি আউশ ধানের বীজ ও ২০ কেজি করে সার বিতরণ করেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ এতে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এনামুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, মো. মিজানুর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তজম্মুল হক চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, আরফান উদ্দিন, শাহ মাসউদ কুরাইশী মক্কী, শেখ মিজানুর রহমান, এরশাদ আলী, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, মডেল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি দেওয়ান শোয়েব রাজা, সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু, কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দাল মিয়া ও সাংবাদিক শেখ নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আব্দুল মজিদ খান বলেন, কৃষিবান্ধব সরকার ক্ষমতায় রয়েছে বলেই কৃষকদের এখন আর বীজ ও সার নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে সেটা মাথায় রেখেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনামূল্যে বীজ, সার,কীটনাশক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিচ্ছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃষিবান্ধব নীতি মেনেই সরকার কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। আর কৃষি খাতে ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষকরা কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলেই বাংলাদেশ আজ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিনত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি মৌসুমে ধান কাটার আধুনিক মেশিন কম্বাইন্ড হারভেস্টার নিয়ে কোন প্রকার সিন্ডিকেট সহ্য করা হবে না। সরকার বড় ধরণের ভর্তুকি দিয়ে মেশিন দিয়েছে সিন্ডিকেট করার জন্য নয়। সিন্ডিকেট কেউ করলে মেশিনগুলো জব্দ করা হবে।
প্রতিকূল আবহাওয়া হলে ৬০-৭০% ধান সোনালী বর্ণ হলেই কৃষকদেরকে ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি।