রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় দেখাবেন না: কাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৭:১৭,অপরাহ্ন ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ৬৭ বার পঠিত
![](https://aajkalcanada.com/files/uploads/2023/09/image-248703-1695734001bdjournal.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কেউ এখন শোনে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯৭১ সালের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামাতে পারেনি। আজও আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা কারো নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না, আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধানের। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না, মানবো না।
নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল কি এজেন্সি পেয়েছে? ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। তারা পারেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় দেখাবেন না।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ফিরলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্যাপ্টেন আসতেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে ক্যাপ্টেন এখন ওয়াশিংটনে আছেন। প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে।
বিএনপি মহাসচিবের নাম উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাঁদতে কাঁদতে কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে। তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই, মির্জা ফখরুল। আপনাদের পিতৃহত্যা, ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবোই। বাংলার মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।
বিএনপির স্বপ্নের বেলুন চুপসে যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সমাবেশে কিছু লোক দেখে মির্জা আব্বাস চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু যতই স্বপ্ন দেখুন, রঙিন বেলুনের মতোই চুপসে যাবে।
বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নিজেরাই রাজনীতি করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য যেই কথা বলছে, তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করেছে। বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছে। সেটাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
ঢাকা আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সাল ভুলে যান। কারো গায়ে আঘাত করলে, পালটা আঘাত হবে। কোনো অবস্থায় ছাড় হবে না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাবো। এই বীরের দেশে বীর জনতা, কারো কাছে মাথা নত করবে না।
কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বারবার আসতে পারব না, ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহম্মেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মুজিবুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকুর হোসেন সাকু, কোষাধ্যক্ষ জসীম মাহমুদ, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন প্রমুখ।