লুসির কণ্ঠে গান শুনলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫০:৩১,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ২৩ বার পঠিত
![লুসির কণ্ঠে গান শুনলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা](https://aajkalcanada.com/files/uploads/2023/12/12-2-18.jpg)
বাংলাদেশের নাগরিত্ব পাওয়া লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের কণ্ঠে গান শুনেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। গানের তালে তার সঙ্গে কণ্ঠও মিলিয়েছেন তিনি। এ সময় শেখ রেহানা মন্তব্য করেন– লুসির মানবিক আদর্শ সবার ধারণ করা উচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে লেখা লুসির চিঠিগুলো সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা।
লুসিকে দেখতে শুক্রবার বরিশালে অক্সফোর্ড মিশনে যান শেখ রেহানা। লুসির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিশনের ফাদার ফ্রান্সিস, জন, সিস্টার মার্গারেট, শেফালী, শিখা, চার্চের ম্যানেজার রিচার্ড রতন হালদার, লুসি হল্টের জীবনী নিয়ে প্রথম ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদক অপূর্ব অপু ও অপসোনিন ফার্মার প্রকল্প সমন্বয়ক সমাজসেবক রফিকুর রহমান।
অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার জন জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের মিশনে ফুল, ফল নিয়ে আসেন শেখ রেহানা। তার আগমনের খবর দুদিন আগে থেকেই জানতেন মিশনের লোকজন।
রফিকুর রহমান জানান, হলরুমে ঢুকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা লুসি হল্টের কাছে গিয়ে নিজেই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাশের চেয়ারে বসে মমতা নিয়ে লুসি হল্টের হাত ধরে তার শারীরিক খোঁজখবর নিয়ে কুশল বিনিময় করেন শেখ রেখানা। নিজে চেয়ার থেকে উঠে সংক্ষিপ্ত সভায় অংশ নেয়া আটজনের প্রত্যেকের কাছে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা পরিচিত হন, সবার খোঁজখবর নেন। এ সময় বরিশালের নানা স্মৃতিচারণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা।
লুসি হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় অক্সফোর্ড মিশন কর্তৃপক্ষ। এ সময় শেখ রেহানা গান শোনার আবদার করেন লুসি হল্টের কাছে। লুসিও গান শোনান পরম কৃতজ্ঞতা নিয়ে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘নাচ ময়ূরী নাচরে’ গানটি শোনেন শেখ রেহানা। এ সময় লুসির কণ্ঠে কণ্ঠ মেলান বঙ্গবন্ধুকন্যা। পরে অক্সফোর্ড মিশনে গির্জার ভেতরে যান শেখ রেহানা। কিছু সময় প্রভু যীশুর গির্জা ঘুরে দেখেন এবং অক্সফোর্ড মিশনের ইতিহাস শোনেন। পরে হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণোচ্ছলভাবে সবার সঙ্গে ছবি তোলেন শেখ রেহানা। পরে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউসে চলে যান।
লুসির জন্ম যুক্তরাজ্যের সেন্ট হেলেনে। তিনি ১৯৬০ সালে বাংলাদেশে প্রথম আসেন। যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন স্কুলে। ৫৭ বছর ধরে কাজ করছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যশোরে অবস্থান করেন। সেখানে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেবা দেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের। লুসির একমাত্র দাবি ছিল বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া। এমন খবর পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। লুসি হল্টের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৮ সালে গণভবনে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।