ডিপজলই থাকছেন শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪০:১৪,অপরাহ্ন ২৮ মে ২০২৪ | সংবাদটি ৩৪ বার পঠিত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েও আইনি বাধায় পড়েছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সে বাঁধা কেটে গেছে। তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে চেম্বার জজ আদালত। সোমবার (২৭ মে) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। এর ফলে সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে বাঁধা নেই ডিপজলের।
এর আগে বুধবার (১৫ মে) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার আদালতে সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডিপজলের বিরুদ্ধে রিট করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে ওইদিন নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় আদালতে এ রিট আবেদন করেন।
নিপুণের রিট চ্যালেঞ্জ করে রোববার (২৬ মে) সম্পাদক পদ ফেরত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন ডিপজল। ডিপজলের আইনজীবী একে খান উজ্জল বলেন, নিপুণের করা রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। তবে কেন শুধুমাত্র ডিপজলের সাধারন সম্পাদক পদ স্থগিত করা হয়েছে। এটি আইন বহির্ভূত।
এদিকে ডিপজল বিষয়টি জানার পর খুশিতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সত্য প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর সাহায্য চিরন্তন।’
ডিপজলের এ পোস্টের কমেন্টে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ সত্যের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)।