বন্ধ হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৪:৪৬,অপরাহ্ন ২৯ মে ২০২৪ | সংবাদটি ৬৭ বার পঠিত
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচলকারী বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করে দিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রেন আর চলবে না, যদিও ১০ জুন পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচলের কথা ছিল।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ৩ ও ৪ ট্রেনটি ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হলো।
গত বছরের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যটক এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুটি ট্রেনের প্রতিটিতে ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয় চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্য। ঢাকা থেকে পরপর দুটি ট্রেন চালু করলেও চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন দেয়া হয়নি। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ ক্ষুব্ধ ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজ ট্রেন চালুর দাবির প্রেক্ষিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন দেওার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ৮ এপ্রিল এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। চালুর পর থেকে এই ট্রেন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যাত্রীদের চাপে এরপর দুই দফায় বিশেষ ট্রেনের সময় বাড়িয়ে ১০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে নতুন করে আর সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ তালুকদার বলেন, “এই ট্রেন তো ১০ জুন পর্যন্ত চলার কথা। এটি স্থায়ী করার পাশাপাশি আরেকটি নতুন ট্রেন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু তা না করে বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ করে দিল। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ ট্রেনে করে যাতায়াতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্ত খুবই হতাশা ও দুঃখজনক।