প্রতারণার আরেক মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার সাজা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০৯:২৮,অপরাহ্ন ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | সংবাদটি ২ বার পঠিত

ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী, কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের পাশাপাশি, আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও প্রদান করেছেন এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে, বর্তমানে আসামিরা পলাতক আছেন এবং আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি, যা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের চটকদার অফার দিয়ে—গাড়ি, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে। কিন্তু ক্রেতারা অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেও বহু মাস পরেও তাদের পণ্য পাননি এবং টাকা ফেরতও পাননি। এর ফলে ইভ্যালি ৫৪৩ কোটি টাকার দেনায় ডুবে যায়।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইভ্যালি ও অন্যান্য ই-কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়, যার মধ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক গ্রাহক মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুজাহিদ ইয়ামাহা মোটরসাইকেল অর্ডার দেন এবং অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ইভ্যালি পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে তারা তাকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেয়, তবে ব্যাংকে অর্থ না থাকায় চেকটি ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিশ্বাস করে তিনি চেকটি জমা দেননি, কিন্তু পরে টাকা না পেয়ে তিনি মামলায় জড়ান।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর র্যাব রাসেল ও তার স্ত্রীকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে এক বছর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পান শামীমা, এবং রাসেলও জামিন পেয়ে বের হন। এর আগে ২০২৪ সালের জুনে চেক প্রতারণার একটি মামলায় তাদের এক বছর করে কারাদণ্ড হয় এবং চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আরও এক মামলায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।