জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে সানায়ে তাকাইচি
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩০:২৪,অপরাহ্ন ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | সংবাদটি ১০ বার পঠিত
জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদী সানায়ে তাকাইচি। ৬৪ বছর বয়সী এ সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী এখন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
শনিবার অনুষ্ঠিত নেতৃত্ব নির্বাচনে তাকাইচি জয়ী হন। এ নিয়ে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার নতুন নেতা বেছে নিতে হলো এলডিপিকে। আগামী ১৫ অক্টোবর পার্লামেন্টে ভোট হবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য। জোটের সর্বাধিক আসন থাকায় তাকাইচির জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়াই প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তাকাইচি ছিলেন একমাত্র নারী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তরুণ রাজনীতিক শিনজিরো কোইজুমি। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা ও কঠোর অবস্থানের কারণে তাকাইচিকেই বেছে নেয় এলডিপি।
জীবনযাপনের বাড়তি খরচে দিশেহারা সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং বিরোধীদের মোকাবিলাই তার বড় চ্যালেঞ্জ হবে। অর্থনীতিতে তিনি আগ্রাসী ব্যয় ও সহজ মুদ্রানীতির পক্ষে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ‘অবেনোমিক্স’-এর দৃঢ় সমর্থক। তবে এর ফলে ঋণগ্রস্ত জাপান আরও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
বিদেশনীতি নিয়েও তাকাইচির অবস্থান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইয়াসুকুনি মন্দিরে তার নিয়মিত সফর ও শান্তিপূর্ণ সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব জাপানের আগের সামরিক ইতিহাসের স্মৃতি উসকে দিচ্ছে। এতে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার তাইওয়ানের সঙ্গে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব চান তিনি, যা বেইজিংয়ের দৃষ্টিতে উদ্বেগজনক।
তবুও তাকাইচির বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছে তাইওয়ান। প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন নেতৃত্বে জাপান-তাইওয়ান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
প্রধানমন্ত্রী হলে “জাপান ফিরেছে” এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে বেশি বেশি বিদেশ সফরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাকাইচি। নিজেকে “কেবল কাজের জন্য নিবেদিত” বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।




