“জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাভোগী কিংবা সুবিধাবাদী দল নয়”: জি এম কাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৩:২৫,অপরাহ্ন ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | সংবাদটি ১৭ বার পঠিত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, তার দলকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর ষড়যন্ত্র চলছে। শনিবার সকালে বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভার প্রথম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, “আমরা যাতে কাউন্সিল করতে না পারি, তার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা যখন হল ভাড়া করতে যাচ্ছি, তখন কেউ হল দিতে চাইছে না। উদ্দেশ্য একটাই—লাঙল প্রতীকের রাজনীতি থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়া। কিন্তু আমরা রাজপথ ছাড়ব না, মাঠে থাকব এবং এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।”
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চাপের মুখে থাকা জাতীয় পার্টি শনিবার ও রবিবার দুই দিনব্যাপী এই বর্ধিত সভা করছে।
জি এম কাদের সাফ জানিয়ে দেন, “জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাভোগী কিংবা সুবিধাবাদী দল নয়, আর আমার নেতৃত্বে কখনোই এমন রাজনীতি হতে দেওয়া হবে না। কেউ এ ধরনের রাজনীতি করতে চাইলে, তার দলে জায়গা হবে না।”
২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থেকে চারটি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে, সরকার পতনের পর জাতীয় পার্টিকে এখন অনেকেই ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলছে। তবে জি এম কাদের সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “জাতীয় পার্টির সিংহভাগ নেতাকর্মী সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে এবং থাকবে। যারা অপপ্রচার করছে, তারা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।”
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জি এম কাদের। বলেন, “মানুষের জান-মাল, সম্মান—কোনো কিছুরই নিরাপত্তা নেই। রাস্তায় বের হলেই কেউ পিটিয়ে বা গুলি করে হত্যা করতে পারে—এমন ভয় কাজ করছে সর্বত্র। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আতঙ্ক ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ দেশে মানুষের ন্যায্য অধিকার নেই, বিচারপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। বাড়িঘর, ব্যবসা—সবকিছু হুমকির মুখে। যেকোনো সময় আক্রমণ হতে পারে। মানুষ টিকে থাকার লড়াই করছে।”
এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টিকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, “এখনই সময় নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আল্লাহ আমাদের সুযোগ দিয়েছেন। ভয় না পেয়ে মাঠে নামুন, জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।